হলুদ শুধু রান্নার মশলা নয়, বরং এটি রূপচর্চা এবং ঔষধি ব্যবহারের জন্যও বহুল পরিচিত। আয়ুর্বেদে কস্তুরী হলুদের বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও, বাজারে আরও নানা ধরনের হলুদ পাওয়া যায় যেগুলির ব্যবহারে রয়েছে বৈচিত্র্য।
রান্নায় ব্যবহৃত হলুদ, যাকে বিজ্ঞানসম্মত ভাষায় ‘কারকিউমা লংগা’ বলা হয়, তার রঙ পরিবর্তনের ক্ষমতা ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র রঙের জন্য নয়, এর পুষ্টিগুণও কম নয়।
আরও একটি বিশেষ হলুদ হল ‘কারকিউমা জ়েডোয়ারিয়া’, যা সাদা রঙের। রান্নায় ব্যবহার না হলেও, এটি ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত এবং প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধানে এটি ব্যবহার করা হয়।
‘ওয়াইল্ড’ বা বুনো হলুদ, যার বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘কারকিউমা অ্যারোমাটিকা’, আয়ুর্বেদে ত্বকের যত্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কালচে দাগ বা মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
হলুদের মধ্যে আরও এক বিরল প্রকার হলো ‘কালো হলুদ,’ যা প্রদাহজনিত ব্যথা নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া, দক্ষিণ ভারতের কেরলে পাওয়া যায় এক বিশেষ ধরনের হলুদ, যেখানে কারকিউমিনের মাত্রা বেশি থাকে। এই হলুদ দক্ষিণী রান্না এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
হলুদের বিভিন্ন প্রকার ও তাদের বৈচিত্র্যময় ব্যবহার আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয়েরই গুরুত্বকে তুলে ধরে। রান্না থেকে শুরু করে রূপচর্চা ও ঔষধি গুণের কারণে হলুদ আজও আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪