দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাদের স্থলে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও)। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার জনস্বার্থে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে।
দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে আজ সোমবার অপসারণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পৃথক এক আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদগুলোর প্রশাসনিক দায়িত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে।
এর আগে, গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ চারটি সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুমোদন করে, যার মধ্যে রয়েছে ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’। এই সংশোধনীর ফলে সরকার এখন প্রয়োজনবোধে যেকোনো সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, এবং উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করতে পারবে এবং প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।
সংশোধিত অধ্যাদেশের আওতায়, সরকার বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা পেয়েছে। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা অধিকাংশ শীর্ষ পদে থাকা সত্ত্বেও, আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে প্রশাসনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে। বিশেষ করে, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের এই পদক্ষেপকে জরুরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের এই সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। সরকারের এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হলেও, এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দেশবাসী এখন অপেক্ষা করছে, এই পরিবর্তন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কতটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪