শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ‘আয়নাঘর’ ইস্যু নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। পরিচালক ও প্রযোজকরা এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন ছবির ঘোষণা দিচ্ছেন, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র জগতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পর থেকে দেশের মানুষ নানা আলোচিত ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। এই সময়ের অন্যতম আলোচিত ইস্যু হলো ‘আয়নাঘর’। এই ইস্যুতে কয়েকজন পরিচালক ও প্রযোজক নতুন ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের আলোচিত-সমালোচিত মুখ হারুন–অর–রশিদও ‘আয়নাঘর’ নিয়ে একটি ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। হারুন–অর–রশিদ তার সময়কালে বিভিন্নজনকে ডেকে খাওয়াতেন এবং সেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করতেন। এই কারণে অনেকেই গোয়েন্দা কার্যালয়কে তার ‘ভাতের হোটেল’ হিসেবে উল্লেখ করতেন। জাদু আজাদ ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ নামে একটি ছবি পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করেছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির শিডিউল খাতা থেকে জানা গেছে, গত ১০ দিনে ৬টির মতো ছবির নাম নিবন্ধিত হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ‘আয়নাঘর’ ইস্যুতে প্রাধান্য পেয়েছে। পরিচালক বদিউল আলম ‘ভয়ংকর আয়নাঘর’, জয় সরকার ‘আয়নাঘর’, বেলাল সানি ‘পরিবর্তন’, জানেসার উসমান ‘অন্ধকারের আয়নাঘর’ নামে ছবি নির্মাণের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।
গতকাল সোমবার এফডিসিতে গিয়ে এসব নাম নিয়ে পরিচালকদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালক জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এ ধরনের ছবির নাম নিবন্ধনের একটা হিড়িক পড়ে। তবে এখন দেখার বিষয়, এসব ছবি নির্মাণ কবে শুরু হবে এবং সেগুলো কতটা সঠিকভাবে নির্মিত হবে। পরিচালকরা যাতে প্রপার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ছবি নির্মাণ করেন, সেই অনুরোধও জানান তিনি।
জাদু আজাদ, ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ ছবির পরিচালক, জানান যে তারা ছবিটি বানাতে কোনোরকম আপস করবেন না। কারা অভিনয় করবেন তা এখনো চূড়ান্ত না হলেও তিনি চমকপ্রদ কাস্টিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
‘আয়নাঘর’ ইস্যু নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের হিড়িক দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রতিফলন। পরিচালক ও প্রযোজকরা এই ইস্যুতে ছবি বানাতে উদ্যোগী হয়েছেন, যা নিয়ে চলচ্চিত্র জগতে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সঠিকভাবে নির্মিত হলে এসব ছবি দর্শকদের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারে।
বিনোদন ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪