নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তিনটি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত বারোটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যার ফলে বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সুবর্ণচরের চর আমানুল্লাহ ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ড এবং চর ওয়াফদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর তদারকি শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সুবর্ণচর উপজেলার চর আমানুল্লাহ ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডে আঘাত হানে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী চর ওয়াফদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামেও একই সাথে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এতে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে অসংখ্য পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক ও মাওলানা আলী আক্কাস জানান, এমন বিপর্যয়ের পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা আরও জানান, অনেকে আশ্রয়ের অভাবে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে তাদের খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। এলাকার মানুষ জানায়, জরুরি সহায়তা না পেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের তিনটি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এখনো তেমন কোনো ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪