২০১৪ সালে স্বপ্ন পূরণের আশায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বরগুনার বেতাগীর যুবক শফিকুল ইসলাম লিটন মৃধা। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সেখানে অবস্থান করে শ্রমিকের কাজ করে আসছিল। প্রায় এক যুগ পর এবার দেশে ফিরে বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! এর আগেই প্রিয় জন্মভূমিতে তার লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে।

গত শনিবার মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের কুলিমের কামপুং তেরাপ বাতু ১০-এর খনিতে দুর্ঘটনায় এক্সকাভেটর চালানোর সময় নিচে আটকা পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই ৩০ বছর বয়সি বাংলাদেশি ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শফিকুল ইসলাম লিটন উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের উত্তর করুনা গ্রামের শহীদুল ইসলাম শহীদের ছেলে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার বাবা শহীদুল ইসলাম শহীদ জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল সে। ছেলেকে হারিয়ে চরম দিশেহারা হয়ে গেছি। তছনছ হয়ে পড়েছে আমার সংসার।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশনের প্রধান বন্দর বাহারু সহকারী দমকল সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ শাহির রেজা রুসলাল শনিবার মালয়েশিয়া সময় বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটের দিকে একটি জরুরি কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে একটি এক্সকাভেটর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এক্সকাভেটরটি উল্টানো ছিল এবং এর নিচে চাপা পড়েছিলেন শফিকুল। উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর দুপুর ২টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন লাশ সরকারিভাবে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের দাবি দ্রুত যেন তার লাশ দেশে পাঠানো হয়।

 

 

 

মো:সৌরব