ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির ন্যূনতম মূল্য সংক্রান্ত শর্ত তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি রফতানি শুল্কও অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গতকাল শুক্রবার পেঁয়াজ রফতানির ওপর থেকে ৫৫০ ডলার ন্যূনতম রফতানিমূল্য শর্ত বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে এখন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যেকোনো দামে পেঁয়াজ রফতানি করতে পারবেন, যা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অন্যদিকে, ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আজ শনিবার থেকে এই হ্রাসকৃত শুল্ক কার্যকর হবে।
ভারত পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চলতি বছরের মে মাসে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, পরবর্তীতে প্রতি টন পেঁয়াজের জন্য ৫৫০ ডলার ন্যূনতম রফতানিমূল্য নির্ধারণ করে। এই ন্যূনতম মূল্য শর্তের কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
শুল্ক কমানো এবং ন্যূনতম মূল্য শর্ত তুলে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই পদক্ষেপে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের সুবিধা হবে এবং বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
ভারতের পেঁয়াজ রফতানির শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাজারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ক্রেতারা স্বস্তি পাবেন। তবে এই পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
রিলাক্স নিউজ ২৪