শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন অনুড়া কুমারা দিসানায়েকে। প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি অর্থনৈতিক সংকটের পর দেশকে নতুন পথে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার নেতৃত্বে আসা অনুড়া কুমারা দিসানায়েকে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, তার নির্বাচনে জয় দেশটির দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিপরীতে এক বড় পরিবর্তন নির্দেশ করছে।
অনুড়া কুমারা দিসানায়েকে সোমবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। শপথগ্রহণের পর তিনি বলেছেন, “রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি জাদুকর নই, কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং সেরা পরামর্শ গ্রহণ করব।” তার এ বক্তব্যকে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সংকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অনুড়া, পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (জেভিপি) পার্টির নেতা এবং আত্মস্বীকৃত মার্কসবাদী, শ্রীলঙ্কার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা এবং রণিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে রবিবারের নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। জেভিপি, যা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, ২০২২ সালে গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর জনপ্রিয়তা লাভ করে। ওই বছর শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক গণবিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দলটি।
এবারের নির্বাচনে, দিসানায়েকে এনপিপি জোটের প্রার্থী ছিলেন। এই জোট আগে কখনও বিরোধী দলের অবস্থানে না থাকলেও বর্তমানে এটি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অনুড়া কুমারা দিসানায়েকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। অর্থনৈতিক সংকটের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার দেশটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য একটি আশার আলো হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪