ভারতে মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে নিয়ে কটূক্তি ও বিজেপির সাংসদ নিতেশ রানের সমর্থনের প্রতিবাদে নবীগঞ্জ ও আউশকান্দিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তাওহীদি জনতা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা সর্বস্তরের তাওহীদি জনতা নবীগঞ্জ পৌরশহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। নবীগঞ্জ শহরের গাজির টেক পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পূর্নরায় গাজির টেক পয়েন্টে জড়ো হয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নামে জঘন্য মিথ্যাচার ও কটূক্তি করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। এ বিষয়টি বিজেপির সংসদ সদস্য নিতেশ রান সমর্থন করেছেন। এতে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তকরণ হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অপরদিকে, বাদ জুম্মা আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মসজিদ গেইটের সামন থেকে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ ও বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া, ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন শাখার যৌথ উদ্দ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাজার পদক্ষিন করে ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্বরে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসার ঈমাম, তালামীয নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, কিছু দিন পর পর আমাদের বিশ্ব নবীকে নিয়ে ভারতে হিন্দুরা কটূক্তি করে আসছে। বিশ্ব মুসলিম প্রতিবাদ মূখর হয়ে ওঠলে তা বন্ধ হয়। কিন্তু কেন তারা আমাদের মহানবীকে তারা বারবার অপমান করছে? এখন আবার ভারতে মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে নিয়ে কটূক্তি করে এবং তা
বিজেপির সাংসদ নিতেশ রানের সমর্থন করেছে। সে যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায় তাহলে আমরা পুরো বিশ্ব মুসলিম এক হয়ে এর দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার ডক্টর ইউনুস সাহেবের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনার মাধ্যমে তাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই, তারা আমাদের মহানবীকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছে তা আমাদের হৃদয়ে আঘাত লেগেছে। এতে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারিনা, পারবওনা। তাই সে যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায় তাহলে বিশ্বের সকল মুসলমানদের নিয়ে আমরা তাদের সাথে মূখাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। না হয় অনতিবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান বক্তারা।
বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)