ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে বৈরুতে রাতভর বিমান হামলায় হত্যা করার দাবি করেছে। তবে হিজবুল্লাহ এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এক্সে পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, হাসান নাসরুল্লাহ মারা গেছেন। একই সাথে, হিজবুল্লাহর আরও কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকেও হত্যা করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, বৈরুতে শুক্রবার রাতে চালানো বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার আলি কারকিও সহ আরও কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে, তাদের হামলায় হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নেতৃবৃন্দ নিহত হয়েছেন। এই হামলার ফলে বৈরুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলের এই আক্রমণের পরপরই ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে যে, শুক্রবার থেকে হাসান নাসরুল্লাহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। তার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
হিজবুল্লাহ এখনও নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, এই হামলার ফলে পুরো লেবাননজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছেন। এর আগেও ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন। তেহরান ও হামাস অভিযোগ করেছিল যে ইসরায়েলই তাকে হত্যা করেছে। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর দাবি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে হিজবুল্লাহর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।