বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়মের তদন্তের জন্য ক্রিকেট তারকা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করেছে।
এছাড়াও সাকিবের স্ত্রী উম্মে রোমান আহমেদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। এর আগে, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর), বিএফআইইউ সাকিব আল হাসান এবং তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলবের চিঠি পাঠিয়েছে। এই পদক্ষেপটি পুঁজিবাজারে কারসাজি ও সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে অনিয়ম করে আইন ভঙ্গ করেছেন, যার ফলে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি, তাকে আদাবর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সাকিবের ব্যবসায়িক কার্যক্রম মূলত রেস্টুরেন্ট ব্যবসার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে প্রসারিত হয়ে পুঁজিবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে যুক্ত হয়। তার ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টও উল্লেখযোগ্য।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনা তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তৈরি করেছে। বিএফআইইউ এবং বিএসইসির এ ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে, আর্থিক অনিয়ম ও বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক