ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তুতিকোরিনে ঘটে গেছে একটি অদ্ভুত ঘটনা। অসুস্থ প্রিয়জনের চিকিৎসার জন্য চুরি করে, পরে চিঠি দিয়ে চোর ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে ৭৯ বছর বয়সী চিথিরাই সেলভিনের বাড়িতে। চুরি হওয়া জিনিসের মধ্যে ছিল ৬০ হাজার টাকা, সোনার কানের দুল এবং রুপার নুপূর। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চিঠি পেয়েছে যেখানে চোর নিজের অসুস্থ প্রিয়জনের চিকিৎসার জন্য চুরির কারণ বর্ণনা করেছেন।
- চুরির ঘটনা: ১৭ জুন চেন্নাইয়ে ছেলের বাড়িতে যান সেলভিন দম্পতি। ২ জুলাই পরিচারিকা বাড়িতে গিয়ে দেখে, দরজার তালা ভাঙা এবং ঘর থেকে চুরি হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, সোনার কানের দুল এবং রুপার নুপূর।
- চোরের চিঠি: চিঠিতে সবুজ রঙের কালিতে লেখা ছিল, “আমাকে ক্ষমা করবেন। আসলে আমার বাড়িতে একজন গুরুতর অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতেই বাধ্য হয়ে চুরি করেছি। টাকাসহ চুরি করা সব কিছু এক মাসের মধ্যে ফেরত দিয়ে দেবো।”
- পুলিশের প্রতিক্রিয়া: তামিল ভাষায় লেখা চিঠি দেখে পুলিশের অনুমান, চোর সর্বস্বান্ত হয়ে অসুস্থ প্রিয়জনের চিকিৎসার জন্য চুরি করেছেন। তবে এখনো কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করা যায়নি।
- সেলভিন দম্পতির পরিচয়: চিথিরাই সেলভিন ও তার স্ত্রী দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাদের চার সন্তান রয়েছে, তবে তারা বাড়িতে থাকেন না।
- পরিচারিকার ভূমিকা: পরিচারিকা প্রথমে দরজার তালা ভাঙা দেখে পুলিশে খবর দেন।
- চুরির তদন্ত: পুলিশ এখনো চোরের পরিচয় উদ্ঘাটন করতে পারেনি, তবে চিঠি থেকে ধারণা করা হচ্ছে চোর অসুস্থ প্রিয়জনের চিকিৎসার জন্য এ কাজ করেছেন।
চুরির এই অদ্ভুত ঘটনা সবাইকে চমকে দিয়েছে। অসুস্থ প্রিয়জনের চিকিৎসার জন্য চুরি করার মতো বিষয় সাধারণ নয়। এই ঘটনা তামিলনাড়ু পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা এখনো চোরকে শনাক্ত করতে পারেনি। চোরের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দেখা যাক তিনি আসলেই চুরি করা জিনিস ফেরত দেন কিনা।