চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে ইসলাম চেয়ারম্যান পোল পর্যন্ত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ(সিডিএ)কর্তৃক নির্মিত সড়ক প্রস্তত করণ এবং রাস্তার দুপাশে গড়ে তোলা অস্থায়ী দোকান গুলোকে উচ্ছেদ না করে অস্থায়ী ভিত্তিতে পূর্ণবাসন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি এবং সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চরপাথরঘাটা পুরাতন ব্রিজঘাট ব্যবসায়ী সমিতি।
বুধবার(১৩নভেম্বর)সকাল এগারোটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত সিডিএ অফিসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পরবর্তীতে সিডিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের সভাপতি এম মাঈনউদ্দীন,সাধারণ সম্পাদক নেছার আহম্মদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন কালা মিয়া,আনোয়ার সওদাগর,জাহেদুল ইসলাম সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা বলেন,সিডিএ কতৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানের কারণে আমরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।তাই আমরা চাই অস্থায়ী পূর্ণবাসন এবং রাস্তার দুপাশে সিডিএর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার রাস্তা সংকির্ণ হয়ে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে, তাই সীমানা প্রাচীর ভেঙে রাস্তাটি ৫০ফুটে বর্ধিত করার দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি প্রদান কালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(সিডিএ)চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল করিম বলেন,যেহেতু বাজারটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই জরুরি তাই আপাতত আমরা উচ্ছেদ অভিযানের দিকে না গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাড়া চুক্তিতে আসতে পারি।তবে সিডিএ কর্তৃপক্ষের যখন প্রয়োজন হবে তখন দোকান গুলো উচ্ছেদ করা হবে।আমরা চাই দখলদার এবং চাঁদাবাজদের হাত থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পরিত্রাণ পাবে এবং ভাড়া গুলো সরকারি কোষাগারে রাজস্ব খাতের আওতায় আনা যাবে।
উল্লেখ,চলতি বছরের গত ২৩ ও ২৪ মে এবং ৫ সেপ্টেম্বর মাত্র তিন মাসের মাথায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ) এর স্পেশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী নেতৃত্বে টানা দু’দিনের অভিযানে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার পুরাতন ব্রিজঘাট থেকে ব্রিজঘাট কাঁচা বাজার ইসলাম চেয়ারম্যান পোল পর্যন্ত পুনর্দখল করে গড়ে তোলা প্রায় ৩০০ অবৈধ স্থাপনা, ঝুঁপড়ি ও পাকা দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ)।
সে সময় উচ্ছেদের বিষয়ে সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন,দুদিনের অভিযানে আমরা প্রায় ৩০০ শ’র উপরে দোকানঘর উচ্ছেদ করে ৬/৭ একরের মতো জমি উদ্ধার করেছি।যার বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা মতো হবে।
উক্ত উচ্ছেদ অভিযানের কারণে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা এবং কর্মহীন হয়ে পড়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।পরবর্তীতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবারও কোনো রকম করে অস্থায়ী ভাবে দোকান নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন,সম্প্রতি আবারও সিডিএ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান করবেন এবং এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মনছুর আলম (মুরাদ) চট্টগ্রাম