মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার রাজকি চা-বাগানে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক যুবক’কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শুদ্র ভূঁইয়া (৪০) উপজেলার রাজকি চা-বাগানের ২১ নম্বর লাইনের বাসিন্দা।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে জুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জয়জিৎ চাষা (২৫) নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের বরাতে জানা গেছে, রাজকি বাগানের কিছু জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা চা-শ্রমিক সুরেশ চাষার সঙ্গে প্রতিবেশী শুদ্র ভূঁইয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সুরেশের লোকজন ওই জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুরেশের লোকজন পাকা ধান কাটতে যান। এ সময় শুদ্র তাঁদের বাঁধা দেন। একপর্যায়ে শুদ্রের আঘাতে সুরেশের আত্মীয় জয়জিৎ চাষা আহত হন। পরে ওই পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর (শুদ্র) ওপর হামলা চালান। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে বিকেলে দিকে জুড়ি থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় শুদ্রের দুই হাত, পা ও ঘাড়ের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেখা যায়। রাত ৯টার দিকে নিহত শুদ্রের স্ত্রী মণি ভূঁইয়া, বাদী হয়ে সুরেশ বুনারজি জয়জিৎ চাষাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া শুক্রবার (২২শে নভেম্বর) সকালে বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য শুদ্রের লাশ মৌলভীবাজার সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি জয়জিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সুরেশ বুনারজির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায় ঘটনার পর থেকে তিনি এলাকা থেকে গা ডাকা দিয়েছে বলে জানান।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার