একটি প্রেম কাহিনি নিয়ে তোলপাড় চলছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায়। প্রেমিক হৃদয় সরকারের প্রবাস থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত এবং প্রেমিকা সুমী রাণী সরকারের বিয়ে নিয়ে জটিলতা পুরো এলাকাকে আলোড়িত করেছে। হৃদয় ও সুমীর চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় চলছে নানা আলোচনা। পরিবারের বাধা এবং বিয়ের আয়োজন নিয়ে তাদের সম্পর্ক এখন সংকটময় মুহূর্তে।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বানিপাতা গ্রামের অনকুল সরকারের পুত্র হৃদয় সরকার (২২) এবং করগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের শৈলেন সরকারের কন্যা সুমী রাণী সরকার (১৯) প্রায় চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত। দীর্ঘদিনের এই সম্পর্ক ঘিরে উঠে এসেছে নানা আলোচিত ঘটনা।
জানা যায়, বিভিন্ন সময় তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ঘুরে বেড়াতেন। হৃদয় প্রবাসে থাকার সুযোগে সুমীর পরিবার তার বিয়ের আয়োজন করে। প্রেমিকার বিয়ের খবর জানতে পেরে প্রবাসী হৃদয় দুবাই থেকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
হৃদয় মোবাইলে জানান, “সুমীকে যদি অন্য কেউ বিয়ে করে, তাহলে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো।” হৃদয় ও সুমীর প্রেমের সময় তারা বিভিন্ন স্থানে গোপন অভিসারে মিলিত হন। তাদের মোবাইলে থাকা ছবি ও ভিডিও নিয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে। হৃদয়ের পরিবার তার বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও প্রেমিকা সুমীর অনশন হুমকির কারণে সেই বিয়ে আর হয়নি।
বর্তমানে সুমীর বিয়ের নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে করগাঁও ইউনিয়নের বড় শাকোয়া গ্রামের বিশ্বজিত সরকারের সঙ্গে। খবর পেয়ে হৃদয় দ্রুত দেশে ফিরছেন। এই ঘটনা নিয়ে বানিপাতা ও লক্ষীপুর গ্রামে চলছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।
বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়া হৃদয় ও সুমীর প্রেম কাহিনি বর্তমান সমাজে অভিবাসীদের অসচেতনতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পারিবারিক সচেতনতা ও আন্তরিক আলোচনার মাধ্যমে এমন জটিলতার সমাধান করা সম্ভব। এই ঘটনা প্রেমের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে, যেখানে আবেগ ও বাস্তবতার টানাপোড়েন স্পষ্ট।