সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও শীতকালীন পণ্যের দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিন্ডিকেট এবং সরবরাহ চেইনের অসংগঠনের কারণে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।
বাজার মনিটরিংয়ের জন্য টাস্কফোর্সের কার্যক্রম। শীতকালীন সবজির অস্বাভাবিক দাম। আমদানিকৃত পণ্যের প্রভাব এবং শুল্ক প্রত্যাহারের ব্যর্থতা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির দাম এখনও অনেক বেশি। কালো গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ১০০ টাকা এবং দেশি টম্যাটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, আর ধনিয়া প্রতি কেজি ১৬০-১৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কিছুটা দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ১১৫-১৩০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি যেমন ফুলকপি, লাউ, ঝিঙা, বরবটি এবং শসার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম অনেক বেশি।
গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ টাকা এবং কক মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা দরে রয়েছে। ফার্মের ডিমের দামও বেশ চড়া, প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০-১৫০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকার শুল্ক প্রত্যাহার এবং বাজার মনিটরিংয়ের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জেলা টাস্কফোর্স বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও দামের উপর এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ছে না।
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য উদ্বেগজনক। সরকারের নীতিমালা এবং বাজার মনিটরিং সঠিকভাবে কার্যকর না হলে, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং সরবরাহ চেইনের সমস্যা কাটানো কঠিন হয়ে পড়বে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাজারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনাই এখন সময়ের দাবি।
অনলাইন ডেস্ক