মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরাইছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব লাল বারই এর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর এক বাক-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৬শে নভেম্বর) ১১টার দিকে শিক্ষার্থীর পরিবার ও বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা লম্পট প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দিলে সে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী চা বাগানের একটি বাংলোয় আশ্রয় নেয়। পরে দুপুর ২টার দিকে কুলাউড়া থানার পুলিশ জনরোষ থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শিক্ষার্থীর মা-বাবা জানান, তাদের মেয়ে বাক-প্রতিবন্ধী সে ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। ওই লম্পট প্রধান শিক্ষক গত ২৩ ও ২৪ নভেম্বর দুই দিন তাদের মেয়েকে স্কুলের ওয়াশরুমে একা নিয়ে যায়। সেই দৃশ্য তার সহপাঠীরা দেখে। মেয়ে বাড়ীতে এসে কান্না করে বিষয়টি তাদের জানায়। পরে তারা এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগ দিলে তারা সে বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ নেয় নি। মঙ্গলবার সকালে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘেরাও করে উত্তম-মাধ্যম দিলে সে পালিয়ে চা বাগানের বাংলোতে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে আসামী করে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ওই দিন রাতে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুলাউড়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইফতেখায়ের হোসেন ভূঞাঁ জানান, মামলার কপি হাতে পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা রূজু করা হয়েছে। বুধবার (২৭শে নভেম্বর) সকালে তাকে পুলিশি প্রহরায় মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার