ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ইসিবি পরীক্ষার পর জানায়, তার কনুই বল ডেলিভারির সময় ১৫ ডিগ্রির অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়েছে। আইসিসি’র ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কোনো বোলারের নিষেধাজ্ঞা স্বীকৃত হলে, তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কার্যকর হতে পারে। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সাকিব এখন আর সেখানকার কোনো টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন না। রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে সাকিব এমনিতেই জাতীয় দলের বাইরে। এবার তার বোলিং নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইংল্যান্ডের লাফবরো ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা দিয়ে ইসিবির প্রতিবেদন পান ১০ ডিসেম্বর। আইসিসি’র ১১.৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিসিবি চাইলে তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করার অনুমতি দিতে পারে। দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন আগে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। বোলিং অ্যাকশন শুধরে স্বীকৃত পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে আবার বৈধতা প্রমাণ করতে পারবেন সাকিব।
ইসিবির নিষেধাজ্ঞার ফলে সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তার মুখে। আইসিসি এবং বিসিবি’র নীতিমালা অনুযায়ী তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা তার বোলিং বৈধতার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায়।
খেলাধুলা ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪