নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে নির্বাচনি আইন প্রণয়নের পাশাপাশি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং নির্বাচনি সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ চলছে।
নির্বাচন কমিশন ২ জানুয়ারি ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভুল সংশোধন বা আপত্তি জানাতে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বৈঠক করেছে কমিশন। সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিটির প্রধান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসি একটি রোডম্যাপের খসড়া তৈরি করেছে যেখানে তফসিল ঘোষণার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কার্যক্রমের সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে। মালামাল কেনাকাটা থেকে শুরু করে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত সব কার্যক্রম এই রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য চারটি কমিটি কাজ করছে:
- আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি – প্রধান: আবদুর রহমানেল মাছউদ।
- সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও প্রস্তুতি কমিটি – প্রধান: আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
- প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও দক্ষতা উন্নয়ন কমিটি – প্রধান: তহমিদা আহমদ।
- তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি – প্রধান: আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম
- নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন।
- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ।
- সংসদ নির্বাচনের বাজেট প্রস্তুত।
- ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও প্যানেল তৈরি।
- নির্বাচনের ব্যালট পেপার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। প্রতিটি কাজ গুরুত্ব অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে নির্বাচনি আইন প্রণয়ন পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপই স্বচ্ছ এবং সময়ানুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশনের এই প্রস্তুতি দেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।
অনলাইন ডেস্ক