বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ভারতের পানে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসরণ করা হবে। ২০১৩ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি কার্যকর রয়েছে।
১৭ অক্টোবর, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আলাদা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ২৩ অক্টোবর, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানায়, গ্রেফতারি পরোয়ানাটি আইজিপি কাছে পাঠানো হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে, বাংলাদেশ এবং ভারত ‘প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলা’ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে একে অপরের দেশে পালিয়ে যাওয়া অপরাধী ও ফেরারি আসামিদের ফেরত পাঠানো সম্ভব।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়ার সূচনা করেছে। ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন হলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
অনলাইন ডেস্ক