দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রবিবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে আসা জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউনের মতে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা এবং খারাপ আবহাওয়া এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। ছবিতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটির লেজের অংশে আগুন ধরে গেছে এবং এটি রানওয়ের পাশে বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। সকাল ৮:৩০ মিনিটে অবতরণের সময় পাইলট প্রথমবার ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়বার ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির কারণে উড়োজাহাজটি রানওয়ের একপাশে দেয়ালে ধাক্কা খায়। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি রানওয়ে ধরে ছুটে দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার পর বিভিন্ন অংশে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়।
দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার সময়, কারণ এবং উড়োজাহাজের অবস্থার বিস্তারিত উঠে এসেছে। এছাড়াও স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া ছবিতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ভয়াবহ অবস্থা স্পষ্ট।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে মৃতদের শনাক্ত ও তাদের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক