২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়রা জোড়াপাম্প এলাকায় যাত্রীবাহী বেপরোয়া বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৬ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। ৬ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।
নিহতরা হচ্ছেন শেরপুর সদরের কামারিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে সিএনজিচালক লোকমান হোসেন (৩৮), আলিনাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৬০), তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৩৮), নকলা উপজেলার গণপদ্দি এলাকার শাজাহান আলীর মেয়ে মাইশা তাসনিম মিম (২৬) ও তার ভাই কামরুজ্জামান বাবু (২৩) এবং শ্রীবরদী উপজেলার পশ্চিম চিথলিয়া এলাকার সুবাশ চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী মিনা রানী (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা পৌণে ১২টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা জোড়াপাম্প এলাকায় কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রিফাত পরিবহনের একটি বাসের সাথে শেরপুর সদরের তারাকান্দি থেকে শেরপুরগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সিএনজির ৫ যাত্রী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। এদিকে দুর্ঘটনার পরপর রাস্তার উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, বেপরোয়া গাড়িচালনার কারণে দিনদিনই বাড়ছে এমন সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা। এতে নিঃস্ব হচ্ছেন বহু পরিবার। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ তাদেরকে নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে।
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর