গত ৩ জানুয়ারি রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকায় এক তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের চেষ্টা করে।
ঘটনার তারিখ: ৩ জানুয়ারি রাত।
অভিযুক্তদের সংখ্যা: ২-৩ জন।
অভিযোগ: শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং পরিবারকে চাপ প্রয়োগ।
৩ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে ভিকটিম বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে ২-৩ জন তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা রাত ২টার দিকে ভোলাগঞ্জের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিম চিৎকার করলে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে এবং তার পড়নের কাপড়চোপড় ছিড়ে ফেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তরা ভিকটিমের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তারা ৩ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। তবে ভিকটিমের মা এতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্তরা আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারেনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা রেকর্ড করেছি। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।” তিনি আরও জানান, “ভিকটিমের সাথে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা কথা বলেছেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” এলাকাবাসী জানায়, ঘটনাটি এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিকটিম ও তার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে, সমাজে এমন অপরাধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও আইনের কার্যকর প্রয়োগ জরুরি।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪