অর্ধেকেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক মনে করেন যে ব্রিটেন “ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে” বলে ইপসোসের সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে। লেবার পার্টি এবং স্যার কেয়ার স্টারমারের সমর্থনও এই সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
৯-১২ আগস্টের মধ্যে পরিচালিত ইপসোসের জরিপে, প্রধানমন্ত্রী রিষি সুনাক এবং তার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের প্রতি সমর্থনে পতন দেখা গেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫২% বলেছেন যে ব্রিটেন ভুল পথে এগোচ্ছে, যেখানে মাত্র ২২% মানুষ মনে করেন যে দেশটি সঠিক পথে আছে।
ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের জনসাধারণের মধ্যে হতাশার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুকূলে মতামত ৩৮% থেকে ৩৮% এ স্থির রয়েছে, তবে তার নেট রেটিং ৭ পয়েন্ট থেকে শূন্যে নেমে এসেছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার এবং চ্যান্সেলর রাচেল রিভসের রেটিংও সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
জরিপ অনুযায়ী, উপ-প্রধানমন্ত্রী রেনারের প্রতি ৩৩% মানুষ অনুকূল এবং ৩৬% প্রতিকূল মতামত পোষণ করেছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব ইয়েভেট কুপার এবং চ্যান্সেলর রাচেল রিভসের প্রতিও সমর্থন কমে গেছে, যথাক্রমে ২৮% এবং ২৭% মানুষ তাদের প্রতি অনুকূল মতামত দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী রিষি সুনাক এবং কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি সমর্থন স্থির রয়েছে, যেখানে ২০% মানুষ সুনাকের পক্ষে এবং ৫৮% মানুষ তার বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন। লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা স্যার এড ডেভির সমর্থনও হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ২২% মানুষ তাকে অনুকূল এবং ৩১% মানুষ তাকে প্রতিকূল মনে করছেন। নাইজেল ফারাজের রেটিং এবং রিফর্ম ইউকের সমর্থনও পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্রিটেনে চলমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের হতাশা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেবার পার্টি এবং কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন যথাক্রমে কমে যাচ্ছে, যা ব্রিটেনের বর্তমান অবস্থাকে প্রতিফলিত করছে। লেবার পার্টির জন্য হানিমুন সময়টি শেষ হতে চলেছে, এবং দেশের ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪