রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরকারের নির্ধারিত দামে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি এবং ফার্মের ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। খামারিরা বলছেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় তাদের লোকসান গুনতে হবে।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) সরকার ব্রয়লার মুরগি, সোনালি মুরগি ও ফার্মের ডিমের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। ব্রয়লার মুরগির খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা, সোনালি মুরগির খুচরা মূল্য ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ফার্মের ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। তবে সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই তিনটি পণ্যই বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। ডিমের খুচরা মূল্য প্রতি পিস ১৩ টাকা, এবং সোনালি মুরগির কেজি ২৮০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যদিও ব্রয়লার মুরগি কিছু বাজারে নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে।
খামারিরা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। এক খামারি নাজমুল বলেন, “উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় আমাদের লোকসান হবে। সরকার যদি ডিমের দাম আরেকটু বাড়িয়ে দিত, তাহলে ভালো হতো।” আরেক খামারি সোহাগ জানান, বাজারে তাদের কাছে পণ্য কম দামে বিক্রি করতে হয়, অথচ ভোক্তারা অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হন। বাজার তদারকির প্রয়োজনীয়তার ওপরও তারা গুরুত্ব দিয়েছেন।
গত বছরও সরকার আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু সেই দাম বাজারে কার্যকর হয়নি। এবারও একই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সরকারের নির্ধারিত দামে ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও ডিম পাওয়া না যাওয়ায় বাজার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। খামারিরা উৎপাদন খরচ বাড়ার কথা বললেও ভোক্তারা অতিরিক্ত দামে পণ্য কিনছেন। বাজারে মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি তদারকির ঘাটতি বাজার নিয়ন্ত্রণের মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
রিলাক্স নিউজ ২৪