সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দিলমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের এক মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি। নিহতের পরিবারের সাথে এলাকাবাসী দ্রুত গ্রেফতার দাবি জানাচ্ছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার হরিপদ নগরে ১ অক্টোবর সংঘটিত কিশোর দিলমান হত্যাকাণ্ডে মামলা হলেও ৩১ দিনেও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ অভিযানে সক্রিয় থাকলেও আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি।
গত ১ অক্টোবর সকাল ১০টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের হরিপদ নগর গ্রামে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে কিশোর দিলমান হোসেন এবং তার ভাই আরমানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। জানা গেছে, একই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র জুনেদ মিয়া এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে দিলমানকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা দিলমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়; তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ অক্টোবর তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
৫ অক্টোবর, সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের ভাই রোমান আহমেদ নোমান দোয়ারাবাজার থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জুনেদ মিয়া, জুবেদ মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, আব্দুল করিম, আব্দুর রহিম এবং আব্দুর রহমান। কিন্তু ঘটনা পেরিয়ে গেছে এক মাস, এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।
নিহত দিলমান হোসেন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। দিনমজুর হিসেবে কাজ করে পরিবারের খরচ চালাতেন তিনি। তার অনুপস্থিতিতে পরিবারটি অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে। নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী মনে করে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচার দাবি জানাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের আসামিরা এলাকাতেই অবস্থান করছে, তাই পুলিশের আরও সক্রিয় ভূমিকা কাম্য। তাদের মতে, হত্যাকাণ্ডে যারা শেল্টার দিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অবস্থান নিশ্চিত হয়ে খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)