গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নাশকতা, সহিংসতা এবং হত্যাচেষ্টা মামলার মূল অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। র্যাব-৯ নিশ্চিত করেছে যে এই অভিযানগুলো সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, শাহপরান এবং এয়ারপোর্ট থানার এলাকায় পরিচালিত হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা বিভিন্ন নাশকতা মামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। অভিযানগুলো গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়মতো পরিচালিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামীদের আটক সম্ভব হয়েছে। র্যাব-৯ এর এই প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা কার্যক্রমের সফলতার প্রমাণ মিলেছে।
১১ নভেম্বর রাত ৩টা ১০ মিনিটে র্যাব-৯ এর একটি দল গোলাপগঞ্জ থানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ খলকুর রহমান (৪৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। খলকুর রহমান আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৭নং লক্ষনাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান এবং নাশকতার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন (মামলা নম্বর: ৩৪/৪৭৩, ধারাঃ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ এবং পেনাল কোড ১৮৬০)।
সকাল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহপরান থানা এলাকায় র্যাব-৯ অভিযান পরিচালনা করে যুবলীগ ক্যাডার জুমায়েল ইসলাম চৌধুরী (৩৮) কে গ্রেফতার করে। তিনি কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ৭ নভেম্বরের নাশকতার মামলার প্রধান আসামী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন (মামলা নম্বর: ১৪/৪৯৫, ধারাঃ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ এবং পেনাল কোড ১৮৬০)।
সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এয়ারপোর্ট থানার এলাকায় র্যাব-৯ একটি অভিযান চালিয়ে সিলেট মহানগরের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফছর মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করে। তিনি জালালাবাদ থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় পলাতক আসামী ছিলেন (মামলা নম্বর: ৭/১৪৪, ধারাঃ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ১৯০৮ এবং পেনাল কোড ১৮৬০)।
গ্রেফতারের পর, আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। র্যাব-৯ জানায় যে, অন্যান্য পলাতক আসামীদের ধরতে তাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব-৯ এর সফল অভিযানে সিলেট জেলার নাশকতা ও সহিংসতামূলক মামলায় জড়িত তিনজন গুরুত্বপূর্ণ আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুলবুল আহমেদ