সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পুরনো বিরোধের জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। অভিযুক্তরা ভিকটিমের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে, যা পরবর্তীতে তার মৃত্যুতে পরিণত হয়। সিলেট র্যাব-৯ এর বিশেষ অভিযানে গতকাল ১৩ নভেম্বর ইছগাঁও এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাওন মিয়াসহ আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৭ অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার বাউধরন গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে ভিকটিমকে নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়। ভিকটিমকে রাস্তার ওপর আটকিয়ে প্রধান আসামি শাওন মিয়াসহ আরও কয়েকজন অভিযুক্ত কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে নিলাফুলা জখম করে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয় যখন প্রধান আসামি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের অবস্থা আরও অবনতি হলে জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই নৃশংস ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩, যার অধীনে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২)/৩০২/৩৪ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। ১৩ নভেম্বর, র্যাব-৯ এর সুনামগঞ্জ সিপিসি-৩ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলার ইছগাঁও এলাকায় অভিযান চালায়। দুপুর আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটের দিকে র্যাব হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি শাওন মিয়া (১৯) এবং তার সহযোগী শহিদ মিয়াকে (২১) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উভয়েই সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার অধিবাসী।
গ্রেফতারকৃতদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিলেট র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল নিশ্চিত করেন। সুনামগঞ্জের এই হত্যাকাণ্ডে মূল আসামি ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা সিলেট র্যাব-৯ এর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এক বিশেষ সাফল্য। র্যাবের এই অভিযান সুনামগঞ্জ অঞ্চলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। র্যাবের মিডিয়া অফিসারের মতে, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে যেন সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং অপরাধীদের কঠোরভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায়।