প্রতিবন্ধীদের পেছনে রেখে দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা।” আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁও এলজিআরডি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিক শ্রেণির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। তারেক রহমান জানিয়েছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবন মান উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, সক্ষম এবং সমৃদ্ধ সমাজ গড়তে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, “আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের কাছে গভীর গুরুত্ব বহন করে, এবং আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, দেশে কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশন প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ দিলেও চাকরি নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি বড় ব্যবসাগুলোকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি নির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের কোটা বাস্তবায়নে উৎসাহিত করবে। এজন্য তারা ট্যাক্স সুবিধা ও কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট প্রদানের কথা বিবেচনা করছে।
জেলা পর্যায়ে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্রেইলসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
তারেক রহমান বলেন, “প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে শারীরিক থেরাপি ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” এছাড়া মোবাইল হেলথ ক্লিনিক চালুর পাশাপাশি সহায়ক উপকরণ তৈরির জন্য কারখানা স্থাপন ও আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফের চিন্তা রয়েছে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান তারেক রহমান। এই অধিদপ্তর তাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজ সমন্বয় করবে।
তারেক রহমান বলেন, “আপনারা প্রতিবন্ধী নন, বরং বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিক। প্রত্যেকের রয়েছে অসীম সম্ভাবনা।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির এই পরিকল্পনা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার প্রতিটি ক্ষেত্রে এগুলো হবে সমন্বিত উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
অনলাইন ডেস্ক