ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনে খাসির মাংসের সঙ্গে ১০ টাকার একটি নোট পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় হলে নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ আবারও সামনে এসেছে। শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
শুক্রবার দুপুরে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম হলের ক্যান্টিনে খাসির মাংসের তরকারি অর্ডার করেন। তরকারি নেওয়ার পর তিনি খাসির মাংসের সঙ্গে ১০ টাকার একটি আস্ত নোট দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্যান্টিন পরিচালক শামীমের কাছে ক্ষমা চান। শামীমের দাবি, নোটটি রান্নার সময় তরকারির মধ্যে ছিল।
হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও নিম্নমানের খাবার নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের মতে, মুহসীন হলের খাবারের মান সবচেয়ে খারাপ। এই খাবার খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অন্যান্য হলের ক্যান্টিনে খাবারের দাম ৫-১০ টাকা কম, কিন্তু মান ভালো।
হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার রিপন হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রান্নার সময় নোটটি ছিল না। এটি হয়তো খাবার দেওয়ার স্থান থেকে উড়ে এসেছে বা কেউ ক্যান্টিন স্টাফকে টিপস হিসেবে দিয়েছে। রিপন হোসেনের দাবি, টাকাটি রান্না করলে আস্ত থাকত না।
এ ঘটনার পর, মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে যাচাই করে দেখতে বলেছেন। এই বিষয়ে হল প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪