২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মঞ্চে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যখন ডাউনিং স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন, তখন আকস্মিক বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ঘটনা অনেকেই আলামত হিসেবে ধরে নিয়েছিল। এটাই ছিল শুরু, এরপর থেকে সবকিছু যেন কনজারভেটিভ পার্টির বিপক্ষে যেতে থাকে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের সম্ভাবনা এতটাই প্রবল ছিল যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোয়েলা বেভারম্যান পর্যন্ত দলকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাঁচানোর প্রস্তাব দেন। জনমত জরিপে লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ সমর্থন পেয়ে এগিয়ে ছিল, যেখানে কনজারভেটিভরা মাত্র ২০ শতাংশে ছিল।
সংবাদপত্রে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনজারভেটিভদের করুণ দশা ফুটে উঠেছে। পেনশনমন্ত্রী মেল স্ট্রাইড ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে লেবার পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কনজারভেটিভদের প্রচারণায় শেষ মুহূর্তের আকুল আবেদন দেখা যায়, যেখানে লেবার পার্টির সুপার মেজরিটির বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে।
লেবার পার্টির প্রধান কিয়ার স্টারমার পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচার চালান এবং তাঁর দলের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছেন। যুক্তরাজ্যে এর আগে কোনো দল একটানা তিন মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে সব জনমত জরিপের ইঙ্গিত।
এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই দলের প্রতি সামগ্রিক আস্থা কমে গেছে, এবং রিফর্ম পার্টি প্রায় ১৬ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে আসন পেতে চলেছে। নির্বাচনের ফলাফল ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪