পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার নলী চড়কগাছিয়া তমিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি না হতে পারায় মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) হালিমা আক্তার নামের ওই শিক্ষার্থীর হাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।
দারিদ্র্যকে শুধু চ্যালেঞ্জ নয় রীতিমতো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অর্জন করেছেন মাধ্যমিকের শ্রেষ্ঠ সাফল্য জিপিএ ৫। বাড়িতে নেই সাফল্য অর্জনের ন্যূনতম আনন্দ ছিলো না।শিক্ষাজীবনে প্রথম সাফল্য এভাবে যে ভীতু করে হালিমাকে না দেখলে বোঝার উপায় ছিলো না।টাকার অভাবে নিয়মিত প্রাইভেট পড়া হয়নি তার। বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতেন। কোনোমতে শিক্ষকদের সহায়তায় পড়াশোনা করেন।
গত ১৯ মে হালিমাকে নিয়ে একটি মাল্টিমিডিয়ায় অনলাইন পোর্টালে ভিডিও ও দৈনিক পত্রিকায় ছবিসহ ‘ জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হালিমার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।দৈনিক পত্রিকার নিউজ নজরে আসলে মঠবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পড়াশোনার সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন। এবং হালিমাকে ও তার বাবাকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে পড়াশোনার সকল ব্যয়ভার বহনের আশ্বাস দেন। ভর্তি ফলাফলে জন্য অপেক্ষা করেন। বরিশাল অমৃত লাল কলেজ ভর্তির সুযোগ পান।এরপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট )সকালে তাঁর কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ হাতে তুলে দেন তিনি।
হালিমা আক্তার বলেন,তার পরিবার দরিদ্র। বই কেনার মতো অবস্থা নেই তাদের। স্যারের মহানুভবতায় তাকে অর্থ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে সে অনেক খুশি।এবার মন দিয়ে পড়াশুনা করে ভালো ফলাফল করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
হালিমার বাবা নাসির হাওলাদার জানান, আমাদের অর্থ দিয়েছেন তাতে আমরা অনেক খুশি। মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে ডাক্তার বানাতে চাই মানুষের সেবা করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম বলেন,টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি এবং এই মেধাবী শিক্ষার্থীর বই কিনতে না পারার বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি।কর্তব্যবোধ ও বিবেকের তাগিদে ওই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছি।
তানভীর মেহেদী, বরিশাল আঞ্চলিক প্রতিনিধি