মহামারীর পর স্কুলগুলোতে কংক্রিট সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এ-স্তরের শীর্ষ গ্রেড অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। শিক্ষার্থীদের এ-লেভেলের ফলাফল তাদের ভবিষ্যত শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবনে অগ্রসর হওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
২০২৩ সালের তুলনায় এ বছর এ-স্তরের গ্রেডে বিস্ময়কর বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষানবিশ, বা চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। কংক্রিট সংকটের মতো চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীরা শীর্ষ গ্রেড অর্জনে সফল হয়েছে।
ইংল্যান্ড, ওয়েলস, এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের এ-লেভেলের ফলাফল পেয়েছে, যা তাদের উচ্চ শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবনে প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর শীর্ষ গ্রেড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১০,৬০০ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে এ স্টার গ্রেড প্রায় ৫,০০০ বেড়েছে। এই বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য, কারণ কংক্রিট সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারত।
জাতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, এ বছর মোট ৮৮৭,০০০ এন্ট্রির মধ্যে ৮২,০০০টি এ-স্তরের মধ্যে একটি এ স্টার গ্রেড প্রদান করা হয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে ১০টি এ-লেভেলের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী এই শীর্ষ গ্রেড অর্জন করেছে, যা প্রাক-মহামারী সময়ের চেয়েও বেশি।
২০২৩ সালের তুলনায় এই গ্রীষ্মে ইংল্যান্ড, ওয়েলস, এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে শীর্ষ গ্রেড প্রাপ্তির হার ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মোট এন্ট্রির ২৭.৮% শীর্ষ গ্রেড অর্জন করেছে। ২০১৯ সালের তুলনায়, যখন প্রাক-মহামারীর গ্রীষ্মকালীন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তখন শীর্ষ গ্রেড প্রাপ্তির হার ২৫.০৪% ছিল। এই তথ্যগুলি দেখায় যে, শিক্ষার্থীরা বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে অসাধারণ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
কংক্রিট সংকট এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, এ বছর এ-স্তরের শিক্ষার্থীরা রেকর্ড শীর্ষ গ্রেড অর্জন করেছে। এই অর্জন শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশ এবং ভবিষ্যতে পেশাগত জীবনে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। যুক্তরাজ্যের শিক্ষার মান এবং শিক্ষার্থীদের দৃঢ় সংকল্প এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে, যা মহামারীর পরবর্তী সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪