দুইদিন পর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোর শ্রী জয়ন্তর মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। মধ্যরাতের দিকে বিএসএফ, বিজিবি এবং থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের ধনতালা সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল ১৮-২০ জনের একটি দল। তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি ছুড়লে জয়ন্ত (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়। দুইদিন পর তার মরদেহ বিজিবি এবং পুলিশের উপস্থিতিতে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতালা সীমান্তে গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সংঘটিত এই ঘটনাটি গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কিশোর জয়ন্ত ১৮-২০ জনের একটি দলের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। ভারতীয় ডিঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তখন গুলি চালালে জয়ন্ত নিহত হয়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে বিএসএফ নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত দেয়। মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির, বিজিবি সদস্য এবং স্থানীয় পুলিশ।
প্রথমে বিএসএফ নিহত কিশোরের মরদেহ সন্ধ্যার পরই ফেরত দেওয়ার কথা জানায়, তবে রাতে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় মরদেহ মধ্যরাতে হস্তান্তর করা হয়। মরদেহটি ধনতালা সীমান্তের ৩৯৩ নম্বর পিলারের কাছে বিজিবির মাধ্যমে পুলিশের উপস্থিতিতে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, সীমান্ত অঞ্চলের পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল এবং এই ঘটনায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে কিশোর জয়ন্তের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সীমান্তবর্তী মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আরও সুদৃঢ় সমন্বয় স্থাপন জরুরি।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪