নবীগঞ্জে বাজার ব্যবসায়ী রাজন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ২০২৪ইংরেজী তারিখ বাদ জুম্মা রসূলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে রসূলগঞ্জ বাজারে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যুবক, ছাত্র, মহিলা শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন।
এতে বক্তব্য রাখছেন, রসূলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেকুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সামাদ মিয়া, মুরুব্বি আঃ কাদির, আঃ ছুবান, মংগা মিয়া, ফয়জুর রহমান, নুরুল হক, জয়নাল মিয়া, নিহত রাজনের মা, ভাই মগল মিয়া, স্ত্রী নিশি বেগম, মুহিত মিয়া, মুজিব মিয়া সহ আরো অনেকেই। উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের কায়ুম মিয়ার পুত্র নিহত রাজন মিয়া (২০)। নিহত রাজন মিয়ার স্ত্রী নিশি বেগম তার বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী তিনির বড় ভাই মগল মিয়ার লিজকৃত নতুন বাজার একটি ফিসারিতে কাজ করতেন। আমার স্বামীর সাথে একই গ্রামের আজিজুর মিয়া গত ১ মাস পূর্বে টাকা নিয়ে একটি বিরোধ হয়েছিল। এ বিষয়টি গ্রাম্য সালিশ বিচারে সমাধান হয়। এতে ৭/৮ দিন তাদের দুজনের মধ্যে কোন দেখা সম্পর্ক ছিলনা। কিন্তু ৮/৯ দিন পর থেকেই প্রায় সময় আজিজুর রহমান আমার স্বামীর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে।
ঘটনার দিন রাতে ১০ টার সময় আজিজুর রহমান তার সাথে তার ভাই সাইফুল মিয়া, সাগর মিয়া, নাঈম আহমেদ ও সাগর আহমেদকে সাথে নিয়ে ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমার স্বামী রাজন মিয়ার খোঁজে আমাদের বাড়িতে আসে। আমার স্বামীকে বাড়িতে না পেয়ে চলে যায় নতুন বাজার ফিশারিতে৷ সেখানে গিয়ে আমার স্বামীকে তাদের সাথে নিয়ে নবীগঞ্জ বাজারে এসে তারা একটি হোটেলে রাতের খাবার খায়। রাতের খাবার শেষে আজুজির রহমান আমার স্বামী রাজন মিয়া (২০)কে সাথে নিয়ে নতুন বাজার যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা হয়। নবীগঞ্জ- হবিগঞ্জ রোডের পৌর এলাকার শান্তিপাড়া এলাকায় এসে চলতি মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেল রেখে তারা পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল থেকে প্রায় ১০০ হাত দূরে রাজন মিয়াকে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সাথে সাথে তারা তাকে এখন থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজনের পরিবার ও এলাকাবাসী প্রশাসনের উদ্দেশ্যে দাবী জানিয়ে আরো বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি