ঢাকা, রবিবার – শেরেবাংলা নগর, যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সরকার যেন কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত না নেয়। তিনি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি কোনো হটকারী সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করে না। আমরা মনে করি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক পদ্ধতিই সর্বোত্তম।” যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য প্রদানকালে মির্জা ফখরুল দেশ রক্ষায় স্বাধীনতার স্বার্থে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অঙ্গীকার করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা সত্ত্বেও দলীয় নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদলের ভূমিকা শক্তিশালী হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বক্তব্যে মির্জা ফখরুল রাষ্ট্রপতি অপসারণের জন্য কোনো তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানের ফসল সঠিকভাবে ঘরে তুলতে চাইলে, সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই সমাধান হওয়া উচিত। এর জন্য দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারের প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল আরও উল্লেখ করেন যে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপি ও যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাবেক সভাপতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলু, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় এবং মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার পরও তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদল আরও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। স্বাধীনতা রক্ষায় যুবদলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হস্তান্তর সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে হওয়া উচিত। গণতন্ত্র রক্ষা এবং সাংবিধানিক স্থিতিশীলতার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনলাইন ডেস্ক