ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির দাম এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সবজি থেকে মাংস ও ডিম—সব কিছুর দাম বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, হঠাৎ সয়াবিন তেলের সংকট ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
কাঁচাবাজারে নতুন আলু, টম্যাটো, করলা, শিম, গাজরসহ প্রায় সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে। বাজারে সয়াবিন তেল মিলছে না, আর পাওয়া গেলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বাজার মনিটরিং না থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব শীতকালীন সবজির দাম এখনও বেশি। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়। টম্যাটো ১৪০-১৬০ টাকা, করলা এবং বিচিওয়ালা শিম ১০০ টাকার ওপরে।
কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা এবং বরবটি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা, শসা, এবং সাধারণ শিমের মতো শীতের অন্যান্য সবজিও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া, বাজারে গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৭০-১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা। সয়াবিন তেলের সংকট আরো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। অধিকাংশ দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও প্রতি লিটারে ২০-২৫ টাকা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে।
খিলক্ষেত বাজারের ক্রেতা কবিরুল ইসলাম বলেন, “বাজারে শীতের সবজির দাম এখনও ৬০-৮০ টাকার নিচে নামছে না। অন্য সবজির দাম তো ১০০ টাকার ওপরে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন।” এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সয়াবিন তেলের সংকট নিয়ে ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুপারশপগুলোতে একজন ক্রেতাকে একটির বেশি বোতল কিনতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজধানীর বাজারে শীতকালীন সবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে ভোক্তারা স্বস্তি পান।