বরগুনায় চলতি বছরের এইচএসসি দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ সাতজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা জানান, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ওই সাত শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকরা হলেন বদরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশরাফ আলী, কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, পূর্ব গুদিঘাটা কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক সগির হোসাইন ও সহকারী অধ্যাপক বেলাল হোসাইন এবং চরকগাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক বেলাল হোসেন, খাকবুনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল এবং কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তারা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের তিনটি হলে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় সদরের আলিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬, ৭ ও ৯ নম্বর হলে ৮০জন পরীক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নৈর্ব্যত্তিকের কোড পরিবর্তন করে প্রশ্নপত্র দিয়েছিলেন ওই সাত শিক্ষক। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হল সুপারকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম।
বরগুনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা বলেন, তথ্য পেয়ে তিনটি কক্ষের সাত শিক্ষকের অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি এবং তাদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। এরপর তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন হল সচিব।
বরগুনার দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসার হল সুপার ও অধ্যক্ষ মুহা. মামুনুর রশিদ বলেন, আদেশ পেয়ে তাদের বহিস্কার করেছি। চাকরি জীবনে তারা আর কোনোদিন পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
অনৈতিক সুবিধা নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে বরগুনা সদর এসিল্যান্ডকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। হল সচিবের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো: সৌরব