সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সকল মন্ত্রী-এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিচারের দাবিতে শেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি’র ৩ দিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৪ আগস্ট (বুধবার) সকালে শহরের রঘুনাথ বাজারস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় সামনে থেকে ওই বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওইসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেরপুরে যেসব ছাত্রদের আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও গুন্ডাবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে। এছাড়া বিগত ১৭ বছর বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম, নির্যাতন, হত্যা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বিএনপির সকল স্তরে নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করে আগামী ৩ দিন প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে থেকে আওয়ামী গুন্ডা বাহিনীদেরকে প্রতিরোধ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন আবারও কোন সহিংস কাজে জড়িত হয়ে বিএনপির উপর দায় চাপাতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ইচ্ছা করলে আওয়ামী লীগের পালিয়ে থাকা গুন্ডা ও সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে এনে শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু বিএনপি শান্তি প্রিয় দল, সুশৃংঙ্খল দল, আমরা তা করব না। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়া করাবে।
সমাবেশে জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে এস এম শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আবু রায়হান রূপন, মো. সাইফুল ইসলাম, আতাহারুল ইসলাম আতা, অ্যাডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল, আমিনুল ইসলাম শিপন, শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন, মফিজুল মোল্লা, জাকারিয়া বাদলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর প্রতিনিধি