মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পাঁচ তারকা হোটেল ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফে’ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের অবস্থানের গুঞ্জনে বুধবার সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে জানতে পারে বিষয়টি গুজব।
শামীম ওসমান গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে আছেন—এমন গুঞ্জন শোনার পর থেকে আশপাশের উৎসুক লোকজন রিসোর্টের আশপাশে ভিড় করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে রিসোর্টের প্রবেশদ্বারসহ আশপাশ ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশের সঙ্গে সেনাসদস্যরা হোটেলে তল্লাশি চালায়। কিন্তু শামীম ওসমানকে সেখানে পাওয়া যায়নি। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি। ওখানে শামীম ওসমান থাকা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিলে, তা সম্পূর্ণ গুজব। কিছু মানুষ গ্র্যান্ড সুলতানের আশপাশে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।’ শামীম ওসমানের থাকার গুজবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে ঘটনাস্থলে যান শ্রীমঙ্গলের পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া মধু।
তিনি গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উৎসুক জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে কেউ নেই। এসব গুজব। আপনারা চলে যান। অযথা ভিড় করবেন না।’ পরে সবাই চলে যায়। গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, শামীম ওসমানের থাকার বিষয়টি গুজব। তাঁদের রিসোর্টটি অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট। সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার-বিবেচনা না করেই উসকানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে, যা পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড সুলতানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট। কোনো কিছু না জেনে-বুঝে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি