স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের অভিযোগ আনলেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে, ড. ইউনূস দাবি করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার চরম লঙ্ঘিত হয়েছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের সংকটকালীন পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে এসব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছেন এবং এ সময়ে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটেছে।
বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে পাশে থাকার জন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে এবং দেশের মানুষ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ড. ইউনূস আরও বলেন, হাজার হাজার মানুষ এই প্রতিরোধে অংশগ্রহণ করেছে এবং শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
তিনি দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং অনেকেই এই যুদ্ধে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বুলেটের আঘাতে আহত শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করে, তিনি এই সংকটময় সময়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণ সমাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, তারা গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের জন্য নিজেদের আত্মত্যাগ করেছেন। তবে শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতেও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪