বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের পাঁচ সদস্যের দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগের পরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঢেউ দেখা দিয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বে ছিলেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তারা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত এবং জনগণের প্রতিক্রিয়া দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে আর দায়িত্বে রাখা সম্ভব নয়।” তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ইসি সদস্য বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান। পদত্যাগের ঘোষণার পর কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন।
পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবি জানান। জনতার মধ্যে এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এবং নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে ১০ম, ১১তম এবং ১২তম সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পায়, কিন্তু পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও রাজনৈতিক চাপের মুখে তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছে। এই পদত্যাগের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।