ব্রিটেনের নগরমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো এই খবর ফলাও করে প্রচার করেছে, যা দেশটিতে বসবাসকারী বাঙালিদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে।
মন্ত্রিসভা গঠন: নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার গত ৫ জুলাই বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরে মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন।
লেবার পার্টির বিশাল জয়: যুক্তরাজ্যের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে লেবার পার্টি জয়লাভ করে।
টিউলিপ সিদ্দিকের নতুন দায়িত্ব: হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিক নগরমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
নির্বাচনের ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া:
- নির্বাচনে জয়: টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।
- টিউলিপের প্রতিক্রিয়া: জয় লাভের পর তিনি বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের দোয়ায় চতুর্থবারের মতো আমি নির্বাচিত হলাম। বাংলাদেশি কমিউনিটি সব সময় আমাকে সমর্থন করে। আমি তাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।’
পরিবারের প্রতিক্রিয়া:
- মায়ের উচ্ছ্বাস: বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা বলেন, ‘আমার মেয়ে আবার এমপি নির্বাচিত হলো। মানুষের সেবায় সে নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে। সবার কাছে দোয়া চাই, সে যেন তার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পারে।’
টিউলিপের রাজনৈতিক যাত্রা:
- রাজনীতিতে প্রবেশ: টিউলিপ সিদ্দিক ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
- সংসদ সদস্য: ২০১৫ সালে প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।
পূর্ববর্তী দায়িত্ব:
- ছায়া শিক্ষামন্ত্রী: ২০১৬ সাল থেকে লেবার পার্টির হয়ে ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের ব্রিটেনের নগরমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ বাঙালি কমিউনিটির জন্য গর্বের বিষয়। তার এই সাফল্য প্রমাণ করে ব্রিটেনের রাজনীতিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভায় টিউলিপ সিদ্দিকের ভূমিকা কীভাবে প্রভাব ফেলবে তা আগামী দিনে স্পষ্ট হবে। টিউলিপ সিদ্দিকের নেতৃত্বে নগর উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারে কী পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে আশাবাদী বাঙালি কমিউনিটি।