আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল এবং তার মেয়ে নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাপ-মেয়ে ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করে দুবাইয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন। এছাড়াও, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ও শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন লোটাস কামাল। দুদক জানিয়েছে, দুবাইয়ে তারা নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন। এ ছাড়া, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে লোটাস কামাল পরিবারের বিরুদ্ধে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, লোটাস কামাল ও তার মেয়ে নাফিসা কামাল মিলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজার কারসাজি করে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়। দুবাইয়ে আবাসন ও অন্যান্য খাতে তাদের বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্যাক্স অবজারভেটরি। এছাড়াও, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া লোটাস কামালের শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতে অনিয়মের ইতিহাসও রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সূত্র বলছে, দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশির প্রপার্টির মধ্যে লোটাস কামাল পরিবারের বেশ কয়েকটি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী থাকাকালে লোটাস কামাল দেশের ব্যাংক ও অর্থ খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, যার ফলে মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
অর্থনৈতিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত লোটাস কামাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং শিগগিরই তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪