কুমিল্লার আলেখারচর ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় হামলা ও গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, তার স্ত্রী হনুফা আক্তার, সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাত আরও ৩শ’ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
বাদী কাজী মো. সোহেল কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হামলায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নেতা, ও সিটি কাউন্সিলরেরাও রয়েছেন।
৫ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লা শহরতলীর আলেখারচর এলাকার বাসিন্দা কাজী মো. সোহেল বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা অনুযায়ী, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব, তার স্ত্রী হনুফা আক্তার, সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং তার মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন। অন্যান্য আসামিরা হলেন ব্যবসায়ী নেতা আতিক উল্লাহ খোকন, বুড়িচংয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, ব্রাহ্মণপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেহরাব হোসেন অপি, এবং সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাবেলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিন শতাধিক আসামি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ও দা, ছেনি নিয়ে বাদীসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। আসামিরা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তাড়া করে এবং গুলিবর্ষণ করে। বাদীর মাথায় গুলি লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন, পরে আরও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের এই সহিংস ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়া পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪