৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভোরে শেরপুর জেলা শহরের নবীনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে শেরপুর – ঢাকা মহাসড়কে দুই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। আহতের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতেরা হলেন—সদর উপজেলার বাকারকান্দা এলাকার হযরত আলীর ছেলে রুস্তম আলী (৫৫), শ্রীবরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান শাহিনের মেয়ে তাবাসসুম (৫), ফিরোজ (৩৫), ফরিদা বেগম (৪২), মোয়াজ (৬), সোহানা (১২), সিয়াম (৬), লিটন (৪০), সুমন (৩৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি মাইক্রোবাস ঢাকার এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে শেরপুর শহরের দিকে আসছিল। অপরদিকে মাইক্রোবাসটি সাভারের বাইপাইল থেকে শেরপুর আসে। পথে শহরের নবীনগর এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনের মহাসড়কে মাইক্রোবাস দুটির সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাস দুটি ছিটকে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বিকট শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও ৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে মাইক্রোবাস কেটে বের করি। মোট ৮ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। বাকিদের স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর প্রতিনিধি