টিউলিপ সিদ্দিক ট্রেজারি ও সিটি মিনিস্টারের ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তার মন্তব্যে গুরুত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার। যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি জানিয়েছেন, অর্থনীতির উন্নয়নই তার প্রধান লক্ষ্য।
টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির মনোনয়নে টানা চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ট্রেজারি ও সিটি মিনিস্টারের ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি তার টুইটারে লিখেছেন, “এটা খুবই গর্বের বিষয় ট্রেজারি ও সিটি মিনিস্টারের ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি ব্রিটেনের অন্যতম বড় সম্পদ। অর্থনীতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা আমার সবচেয়ে বড় কাজ। নষ্ট করার মতো সময় নেই।”
টিউলিপ সিদ্দিক ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসনটিকে লেবার পার্টির নিরাপদ আসনে পরিণত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ সাল থেকে তিনি লেবার পার্টির হয়ে ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা-মা হলেন সফিক আহমেদ সিদ্দিক ও শেখ রেহানা। ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এদিকে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে রুশনারা আলীও মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি মূলত হাউজিং, স্থানীয় সরকার ও কমিউনিটি নিয়ে কাজ করবেন। অপর দুই ব্রিটিশ বাংলাদেশি নারী এমপি রুপা হক ও আপসানা বেগম কোনও দায়িত্ব পাননি।
টিউলিপ সিদ্দিকের নতুন দায়িত্ব পাওয়ার মাধ্যমে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ার আশা করছেন অনেকেই। তার অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনা ব্রিটেনের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।