সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৫ নৌযান শ্রমিক আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর, শনিবার সকালে উপজেলার আজমপুর এলাকায় সুরমা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বাল্কহেডটি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আহতরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত মারফত আলীর পুত্র মোঃ জহুর আলী(৩৬) একই গ্রামের ছোবহান আলীর পুত্র জাবেদ মিয়া (২০), কুতুব মিয়া (১৮) ছমুর মিয়ার পুত্র কলিম মিয়া(৩০) মৃত মারফত আলীর পুত্র শায়েল মিয়া(২৮)
গুরুতর আহত জহুর আলী কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান,পরে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করেন,কিন্তু তার পাজরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় এবং ক্ষতস্থানে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক (১৫ সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুরে তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মোঃ জহুর আলী(৩৬) স্থানীয় সূত্রে জানাযায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় স্টিল নৌকা দিয়ে স্কুলের ব্যাঞ্চ নিয়ে আমবাড়ি বাজার জাওয়ার পথে ছিল নৌকাটি , উপজেলার সুরমা নদীর আজমপুর নামক স্থানে পৌছালে দেখেন বিপরিত দিকে বেপরোয়াভাবে তাদের নৌকার দিকে আসছে একটি বাল্কহেড তারা হাত দিয়ে চিল্লাতে থাকেন কিন্তু এসবের পরোয়া না করেই তাদের নৌকায় ধাক্কা দেয় বাল্কহেডটি সাথে সাথে চার দিকে ছিটকিয়ে পরেন তারা। স্থানীয় লোকজন তাদের কে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে আহত ব্যাক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা