মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলা থেকে বন্যার পানি না নামায় এখনও ১৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলে মোট ২৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ১৬ই জুন থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। একইসঙ্গে উজান থেকে ঢল নেমে জেলার ৭টি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ঢুকে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি। পরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি সপ্তাহ দিনের মধ্যে উন্নতি হয়। কিন্তু ৫টি উপজেলা কুলাউড়া বড়লেখা, জুড়ী, রাজনগর ও সদর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা থেকে এখনও বন্যার পানি না নামায় পুরোপুরি উন্নতি হয়নি।
জেলা প্রাথমিক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শেষে গত ২৬ জুন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। অন্যদিকে গেল ৩ জুলাই প্রাথমিক বিদ্যায়লগুলো খুলেছে। কিন্তু বন্যার কারণে জেলার ১০৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯৮টি ও মাধ্যমিক স্থরের ১৭১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এদিকে কুলাউড়া পৌর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় কেন্দ্রটি কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালায়ে স্থানান্তর করা হয়।
বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় শিক্ষার্থীরা কবে ক্লাস করতে পারবে এনিয়ে দু:চিন্তায় অভিবাবক ও শিক্ষাথীরা।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি