মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম নাঈম হ-ত্যায় জড়িত দুই নারীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯। আটককৃতরা হলেন- পারভীন বেগম ও তার মেয়ে রোকসানা আক্তার জেসি। তাঁরা দুজনই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে তাদের আটকের পর মৌলভীবাজারের সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিনহাজ উদ্দিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন- আসামী দুইজন দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলো। তাদের গতকাল র্যাব-৯ এর সহায়তা আটক করে। শনিবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার সদরের সোনাপুর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে নাঈমের সাথে পাশের বাড়ির রনির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রনি তার বাবা নুরুল মিয়াসহ কয়েকজন মিলে রেজাউলকে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন মিলে তাকে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
খবর পেয়ে নাঈমের বাবা-মা রনির ঘর থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর নাঈমের বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ১৯ নভেম্বর মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পলাতক ৫ আসামি আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের পর আসামিরা আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত তাঁদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠনোর নিদেশ দেওয়া হয়। পরে আবারও জামিনের আবেদন করলে তাদেরকে জামিন দেন আদালত। তবে দীর্ঘদিন ধরে হাজিরাতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধ্বে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে ওই দুই নারীকে আটক করেছে র্যাব-৯।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি