যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরি চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অনলাইন-অফলাইন গণসংযোগ করেন তারা। শুক্রবার পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বকর মজুমদার জানান, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলার সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গত ৫ জুন উচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শুরুতে ৪ দফা দাবি জানালেও ৭ জুলাই থেকে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। ৭ ও ৮ জুলাই ৫ ঘণ্টা রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধের পর ১০ জুলাই সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
উচ্চ আদালতের রায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা আন্দোলন শুরু করে। দাবির পক্ষে জনসমর্থন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারীরা সমর্থন পাচ্ছেন এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে এবং যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সামনের দিনগুলোতে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং দাবির প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন।